রোকন বিশ্বাস-ষ্টাফ রিপোর্টারঃ নিত্যপন্যের বাজার বৃদ্ধিতে দুশ্চিন্তায় পড়েছে ক্রেতারা।বাজারে বের হলেই যেন অল্প টাকাতে কিছুই মিলছে না এমনি পন্যের দাম বৃদ্ধিতে ক্রেতারা দুশ্চিন্তায় পড়েছে আর বিক্রেতারা হারাচ্ছে কাষ্টমার এতে উভয়ই বিপাকে।বাজারে বর্তমান ব্রয়লার মুরগির কেজি হয়েছে ২৩০ টাকা,মসুরের ডাউল ১৪০ টাকা,ডিম ১৩০ টাকা ডজন,মরিয়ম খেজুর ৯০০ টাকা কেজি,গরুর মাংস ৭৫০ টাকা,খাসির মাংস ১১০০ টাকা,রসুন ১৯০ টাকা,আদা ২০০ টাকা প্রতি কেজিতে।বর্তমান নিত্যপন্যের দাম বৃদ্ধি হতাশ সাধারণ জনগন।মধ্যবিত্ত পরিবারের বেহাল দশায় পরিনত হচ্ছে এটা দেখার যেন কেউ নেই।খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন,পাইকারি মূল্যে পন্য ক্রয় করেও আমাদের কোন লাভ্যংশ পাইনা তেমন।আমাদের ক্রয় থেকে প্রতি কেজিতে ২.২০ টাকা/পয়সাতেই বিক্রি করতে হচ্ছে।এইভাবেই যদি চলতে থাকে প্রতিটি পন্যর মূল্য তাহলে আমাদের মত খুচরা বিক্রেতারাও এক সময়ে বিলিন হয়ে যাবে। সাধারণ খুচরা বিক্রেতারা মনে করছে যারা পাইকারি মূল্যে পন্য বিক্রয় করছে তারা এক প্রকার সিন্ডিকেট ব্যবসা শুরু করছে প্রশাসনের কোন নজরেই এমন সিন্ডিকেট চলছে,প্রশাসন দেখেও অর্থের কারণে নিজ স্বার্থ উদ্ধারে কোন প্রকার আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।খুচরা বিক্রেতা হিসাবে মনে করি পন্যর দাম সরকার বৃদ্ধি করে নাই কিন্তু কিছু ব্যবসায়ী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে ফায়দা নিচ্ছে এখন ব্যবসায়ীদের উপর থেকে আর এই ফায়দার এক বড় অংক পাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন এই সকল কারণেই আর কোন আইনের বিধি প্রয়োগ হচ্ছেনা।উচ্চবিত্ত শালী ব্যক্তিরাই নিত্য পন্যের মূল্য বৃদ্ধিতেও ক্রয় করতে সক্ষম আর মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন বাজারে এসে নিজ চাহিদা অনুযায়ী বাজার করা সম্ভব হচ্ছে না খুবই প্রয়োজনীয় নিত্যপন্য ক্রয় করেই ফিরতে হচ্ছে নিজ বাড়ী এতে সাংসারিক জীবনে অশান্তি আর ভোগান্তির শেষ হচ্ছে না এমন দূর্বিষহ জীবন পার করতে হচ্ছে মানুষের। সাধারণ জনগন জানিয়েছেন,আমাদের প্রয়োজনের চাহিদা অনুযায়ী আমরা পন্য ক্রয় করতে হিমসিম খাচ্ছি যা আমাদের বেতনের টাকায় সম্ভব হচ্ছে না।আমরা বেতনের টাকায় বাজার করলে বাসা ভাড়া,গ্যাস বিল সহ আনুসঙ্গিক কিছুই করতে পারছি না,আর যদি বাসা ভাড়া সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে টাকা ব্যয় করি তাহলে না খেয়ে মরতে হবে আমার এই সোনার বাংলায় এটাই আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ।তাই আমাদের দাবি নিত্য পন্যের মূল্য কমিয়ে পাইকারি ব্যবসার সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিয়ে গন মানুষের জীবন রক্ষা করুন তাহলে দু-বেলা দু-মুঠো খেয়ে জীবন জাপন করতে পারবো।