মোঃ এমদাদুল হক,স্টাফ রিপোর্টার
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ফুডসের (সেজান জুসের) কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে অর্ধশতাধিক মানুষের প্রাণহানিতে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। এ মামলায় সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার (১০ জুলাই) হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ওই কারখানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় পৃথক তদন্ত কমিটি করে দেয়া হয়েছে। কারখানায় কতজন লোক কাজ করত, সবই তদন্তে বেরিয়ে আসবে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারি সহযোগিতা করা হয়েছে। আরও সহযোগিতা প্রয়োজন হলে সরকারের পক্ষ থেকে করা হবে।
মামলা ও দোষীদের শাস্তির বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, অবশ্যই মামলা হবে, এর সঙ্গে সামান্যতম দোষীদেরকেও আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে। তবে তদন্তের আগে বিস্তারিত কিছু বলতে চাচ্ছি না। তদন্ত শেষে অবশ্যই তদের বিচার হবে।
কারখানায় শিশুশ্রমের বিষয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, কতজন শিশুশ্রমিক ছিল তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অগ্নিকাণ্ডের সময় কারখানা ভবনের ছাদ আটকানো ছিল এবং সিঁড়িতে তালা দেয়া ছিল- এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৭ জনকে ছাদ থেকে বড় একটি মই দিয়ে রেস্কিউ করেছে ফায়ার সার্ভিস। সিঁড়িতে ও ছাদে তালা দেয়া ছিল কি-না তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।
এদিকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জায়েদুল আলম জানিয়েছেন, ৩০২ ধারায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিস বলেছে, ভবন নির্মাণে ত্রুটি রয়েছে। ভবনে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল না। আমরা মনে করি এখানে ইচ্ছাকৃতভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমরা সরাসরি হত্যা মামলা দায়ের করেছি। ইতোমধ্যে মালিক পক্ষ ও ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে থাকা আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
এসপি জায়েদুল আলম বলেন, আপনারা জানেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, যে বা যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, মরদেহগুলো থেকে ডিএনএর স্যাম্পল নেওয়া হয়েছে। নিখোঁজ যারা আছেন তাদের বাবা-মা, দাদা-দাদি সবার ডিএনএ নমুনা কালেক্ট করেছি। শিগগিরই আমরা নমুনা পরীক্ষা করে মরদেহগুলো হস্তান্তর করতে পারবো।