সালাহ উদ্দিন সৈকত(গাজীপুর প্রতিনিধি)
সমিতি গঠন করে সাধারন মানুষের সঞ্চয়ের টাকা আত্মসাৎ করার প্রতারণা দায়ে আসামী মোঃ মিজানুর রহমান (৩৭),ও হাফিজুর রহমান (৩২) দ্বয়কে গাছা থানা এলাকা থেকে অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গাজীপুর।
গ্রাহকদের সঞ্চয়ের প্রায় ১ কোটি টাকা প্রতারনামূলক ভাবে আত্মসাৎ করে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে গাছা থানায় মামলা হলে পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে একজন আসামীকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করেন। পরবর্তীতে পুলিশ হেডকোয়াটার্স এর নির্দেশে মামলাটির তদন্তভার পিবিআই গাজীপুর জেলার উপর অর্পন করেন।
ডিআইজি পিবিআই জনাব বনজ কুমার মজুমদার, বিপিএম (বার), পিপিএম এর সঠিক তত্ত্বাবধান ও দিক নির্দেশনায় পিবিআই গাজীপুর ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার, জনাব মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান এর সার্বিক সহযোগিতায় মামলাটি তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক জনাব মোঃ আরিফুল ইসলাম মামলাটি তদন্ত করেন।
আসামী শাহীন প্রথমে নিউ লাইফ মাল্টি প্রোডাক্টস্ লিঃ এর ব্যবসা করতো। আসামীর সহিত ও আসামীর পরিচয় হওয়ায় আসামী মিজান ও হাফিজ শাহীনের সাথে নিউ লাইফ মাল্টি প্রোডাক্টস্ লিঃ ব্যবসায় যুক্ত হয়। পরবর্তীতে তাহারা একটি সমিতি খোলার পরিকল্পনা করে এবং ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা এ্যাডভান্স দিয়ে আইইউটি গেইট কলমেশ্বর হাসেম মার্কেটে ২য় তলায় “বোর্ড বাজার প্রতিভা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ” সমিতির অফিস ভাড়া নিয়ে এলাকার দোকানদার ও গ্রাহকদের কাছ থেকে সঞ্চয় ও ঋন প্রদান সহ বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে টাকা জমা করে। পরবর্তীতে সমিতির আমানতকারীদের জমাকৃত টাকার উপর সুদের হিসাবের কথা বলে সকল গ্রাহকদের সঞ্চয় ও ঋনের বই তাহাদের অফিসে জমা নিয়ে অফিসে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়।
এই বিষয়ে পিবিআই গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার, জনাব মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান বলেন আসামীগন একে অপরের পূর্ব পরিচিত সেই হিসেবে তারা একটি সমবায় সমিতি গড়ে তুলে এবং সাধারণ মানুষের নিকট থেকে সঞ্চয় সংগ্রহ করে। আসল ও সুদসহ পরিশোধ করার অঙ্গীকার করলেও পরবর্তীতে তারা কোনটি পরিশোধ না করে সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যায়।
আসামীদের আদালতে পাঠানো হলে তারা ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের নাম উল্লেখ করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।