উজ্জল মিয়া, সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের জয়ধরকান্দি (মধ্যপাড়া) গ্রামের মৃত নোয়াব আলীর তিনজন স্ত্রী, মৃত নোয়াব আলী মারা যাওয়ার আগেই তিন স্ত্রী ও ৯ সন্তানের মধ্যে সম্পত্তি মৌখিকভাবে এলাকার একাধিক সাক্ষীগণের উপস্থিতিতে ভাগাভাগি করে দিয়ে যান।
মৃত নোয়াব আলী মারা যাওয়ার বছর তিনেক পেরুতে না পেরুতেই শুরু হয় দন্ড বিতণ্ডা।
মৃত নোয়াব আলীর প্রথম স্ত্রীর ঘরের বড় সন্তান জজমিয়া (৫০) নামের ব্যক্তি পরিবারের সবার বড় হওয়ায় সমস্ত সম্পত্তি একাই ভোগ দখলের পায়তারা করে।
সেই অনুযায়ী বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন নিজের মা সহ সৎ মা দের যাদের আশ্রয় এখন মেয়ের শ্বশুর বাড়ি।
সম্পত্তি ভোগ দখলের নামের চালিয়েছে নিজের মা সহ সৎ মা ভাই বোনদের উপর শারিরিক নির্যাতন। কয়েক দফা হামলা চালিয়ে আসবাবপত্রসহ ভাংচুর করেছেন জজমিয়ার সৎ-মা মৃত নোয়াব আলীর তৃতীয় স্ত্রী রিমা বেগমের ঘর।
ভুক্তভোগীরা গ্রাম্য সালিশ কারকদের কাছে ন্যায় বিচারের জন্য গেলে একাধিক বার তারা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করে কিন্তু জজমিয়া তার বিপরীতে হাঁটে এবং হুমকি দিয়েছে গ্রাম্য সালিশকারকদের এ বিষয়ে নাক গলালে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন।
সরাইল থানা বিট পুলিশ বিষয়টি সমাধানের জন্য গ্রাম্য সালিশদের সাথে নিয়ে বসার তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন কিন্তু তার আগেই জজমিয়া করে ফেলেন তুলকালাম কান্ড নিজের বাড়িতে নিজেই আগুন লাগিয়ে মামলা করেন গ্রাম্য সালিশ কারকদের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে জজমিয়ার কাছে বক্তব্যের জন্য গেলে তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। পরে ফোনালাপে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে কল কেটে দেন।
এ বিষয়ে আরো জানতে যাওয়া হয় মামলার তদন্তকারী অফিসার মোবারক কাছে।
তিনি জানান মামলা সরজমিনে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে তা আদালতে জমা দেওয়া হবে।