রবিউল ইসলাম, জামালপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ীতে তুচ্ছ কারণে আগ্নেয় অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখানো ও এলাকাবাসীকে জিম্মি ও করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ব্যক্তির অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিলের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের দোলভিটি গ্রামের মৃত রস্তম আলী ম্ন্সুীর ছেলে মোঃ গিয়াস উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে তাঁর ব্যক্তিগত আগ্নেয় অস্ত্র দিয়ে গ্রামবাসীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জিম্মি করে রেখেছে। তিনি তুচ্ছ ঘটনায় অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ ও গুলি করে দিব বলে হুমকিসহ প্রাণনাশের ভয়ভীতি দেখায় সাধারণ মানুষকে। গিয়াস উদ্দিনের জম্ম অতি দরিদ্র পরিবারে। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পূর্বে সে রিয়াজ উদ্দিন (সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান) নামক এক মুসলীমলীগ নেতার বাড়ীতে অশ্ব পালক হিসাবে কাজ করতেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে ঢাকা আজিমপুর এক বিহারী অফিসারের বাসায় কাজের লোক হিসাবে ওই চেয়ারম্যান কাজের ব্যাবস্থা করে দেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে সে ঢাকা থেকে আটা, সুয়াফিন, তেল এনে গ্রামে বিক্রি করত। ১৭-০৮-১৯৭১ সালে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান কর্তৃক রাজাকার হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্তির সুপারিশের প্রেক্ষিতে রাজাকারে যোগদান করেন। তাহার কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই। অফিসারদের বাসায় থেকে স্বশিক্ষিত হন। মুক্তিযুদ্ধের অব্যবহিত পরে সে আত্মগোপনে থেকে বাংলাদেশ জাতীয় রক্ষিবাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৮৭ সালে চাকুরি হতে অবসর গ্রহণ করে। ১৯৮৭ সালে অবসর নিলেও ২৫-১০-২০০৩ইং তারিখ সেনাবাহিনীর গেজেটে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটভুক্ত হন। তারপর মুক্তি বার্তায় সুকৌশলে অর্থের বিনিময়ে নাম অন্তভূক্তি করেন। পুনরায় ২৩-০৫-২০০৫ ইং তারিখ বেসামরিক গেজেটে ১০০৫ নং ক্রমিকে গেজেট ভুক্ত হন। অর্থ্যা সে সুকৌশলে বিভিন্ন সময়ে জারিকৃত প্রতিটিতেই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটভুক্ত হন। সে অবসর গ্রহণের পর একটি আগ্নেয় অস্ত্রের লাইসেন্স প্রাপ্ত হন। উক্ত অস্ত্রের দাপটে গ্রামবাসীকে যখন তখন যেন তেন বিষয়েই অস্ত্রের হুমকি প্রদান করে থাকেন বলে ভুক্তভোগী অভিযোগকারী আব্দুল গণি জানান।
এ ব্যাপারে ৩নং ডোয়াইল ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাজী ফজলুল হক জানান, সে মুক্তিযুদ্ধে অংশ-গ্রহণ না করেও সুকৌশলে কিভাবে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গন্য হচ্ছে ও সরকারী সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করছে তাহা আমার বোধগম্য নহে। তিনি আরও জানান, সে গ্রামবাসীর সাথে কথায় কথায় অস্ত্রের ভয়ভীতি ও গালিগালাজ করে থাকে। এবিষয়ে উক্ত গ্রামের অতিরিক্ত সচিব (অব) মো: তোফাজজল হোসেন এর সাথে মোবাইলে ০১৭৩১৬৮৪৪৮১ যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তাহার পিতা মোকছেদ আলী মন্ডলকেও জমি সংক্রান্ত বিষয়ে অস্ত্রের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন বলে জানান। স্থানীয় এলাকাবাসী মামুন, এছাহাক, লোকমান আলী, শাহজাহান, জালাল উদিদন, স্বপন, শফিক, আনোয়ার, বারী ও নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং তার আগ্নেয় অস্ত্রের লাইসেন্সটি বাতিলের দাবি জানান।