সালাহ উদ্দিন সৈকত(গাজীপুর প্রতিনিধি)
পরিচয় মিলেছে সাফারি পার্কের ভেতর উদ্ধার সেই লাশের
গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভেতরে হত্যাকাণ্ডের শিকার সেই অজ্ঞাত যুবকের পরিচয় পাওয়া গেছে। এছাড়া এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে র্যাব-১।নিহত যুবকের নাম কবির হাসান (২২)।তিনি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার নয়াপাড়া গ্রামের জাবিউল ইসলামের ছেলে।গ্রেফতাররা হলেন,ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর থানার গালিমপুর গ্রামের মো. রুস্তম আলীর ছেলে মাসুদুর রহমান (৩৭),একই থানার জালালপুর গ্রামের মো. আব্দুল হাকিমের ছেলে মো. আব্দুল হালিম (৩৬) ও যশোর জেলার চৌগাছা থানাধীন চৌগাছা গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. লালটু মিয়া (৪১)।গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত প্রাইভেট কার,দুইটি গামছা,পাঁচটি মোবাইল ফোন,দুইটি ল্যাপটপ, একটি ডেস্কটপ,নগদ ১১ হাজার ২৩০ টাকা,বিভিন্ন ধরনের ভিজিটিং কার্ড,১৫টি বায়োডাটা,ফাকা স্ট্যাম্প,প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের সিল এবং অফিস আইডি কার্ড জব্দ করা হয়।শুক্রবার (২ এপ্রিল) রাতে র্যাব-১ এর অধিনায়কের পক্ষে সহকারী পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার এসব তথ্য জানান।তিনি জানান,গত সোমবার (৩০ মার্চ) সকালে গাজীপুরের শ্রীপুরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের দক্ষিণ-পূর্বদিকে ৪নং গেটের পাশ থেকে এক অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।পরে এ ঘটনায় শ্রীপুর থানায় একটি মামলা রুজু হয়।র্যাব নিহত যুবকের পরিচয় শনাক্ত করার জন্য নব সংযোজিত Onsite Identification and Verification System (OIVS) ব্যবহার করে।তিনি আরও জানান,গত শুক্রবার র্যাব-১ এর একটি বিশেষ দল ডিএমপির পল্লবীর থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।অভিযানকালে উল্লেখিতদের গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কবির হোসেন (২২)হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততার স্বীকারোক্তি দেন।গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও বিভিন্ন তথ্য যাচাইবাছাই র্যাব আরো জানতে পারে,গত ২৫ মার্চ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁওর বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের খংসারদি সেতুর নিচে অজ্ঞাত এক যুবকের মৃতদেহ পাওয়া যায়।সেই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও উক্ত চক্রটি জড়িত রয়েছে।র্যাব উক্ত যুবকের পরিচয়ও নিশ্চিত করেছে।যুবকের নাম মো. সাগর হোসেন (২৫)।তিনি জয়পুরহাট জেলার পাচবিবি থানার সাং-নন্দইল হাটখোলা গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে।
তিনি জানান,এই চক্রটি মানবপাচার,চাকরি,প্রতারণা ও সুদের ব্যবসাসহ নানা রকম অবৈধ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত।এছাড়া গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।