মাজহারুল ইসলাম বাদলঃ- স্টাফ রিপোর্টার
বাংলাদেশে গতবছর প্রথম করোনা শনাক্ত হয় নারায়ণগঞ্জে। সংক্রমণের শুরু থেকেই নারায়ণগঞ্জে দাপুটে ছিল করোনাভাইরাস।
সব জেলার মধ্যে নারায়ণগঞ্জে করোনা শনাক্তের সংখ্যাও ছিল বেশি। ওই পরিস্থিতিতে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা দেয় নারায়ণগঞ্জের খানপুরস্থ ৩০০ শয্যার হাসপাতাল ও নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সাজেদা হাসপাতাল।
কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় সিদ্ধিরগঞ্জের সাজেদা হাসপাতালটিতে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা দেয়া বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি লোকসানের কারণে চলতি সালের ১৫ জানুয়ারি অন্য রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়াও বন্ধ করে দেয় হাসপাতালটি।
করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সারাদেশে রেকর্ড সংখ্যক মৃত্যু হচ্ছে। সিদ্ধিরগঞ্জে এখন করোনা হাসপাতাল না থাকায় উৎকন্ঠায় রয়েছে এলাকাবাসী। বর্তমান পরিস্থিতিতে আবারও করোনা হাসপাতাল খুলতে সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী এলাকার কামাল হোসেন ২০২০ সালের মে মাসে কোভিড-১৯ পজেটিভ হয়েছিলেন। সাজেদা হাসপাতালে ২৩ দিন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেন।
তিনি জানান, দেশব্যাপী করোনা শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে। সংক্রমণের শুরুতে অনেক রোগী সাজেদা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এখন আমাদের এলাকায় কেউ কোভিড-১৯ পজিটিভ হলে কোন হাসপাতালে চিকিৎসা নিবেন তা বুঝতে পারছি না।
তাছাড়া বেশিরভাগ হাসপাতালে বেড খালি নেই শুনছি। এজন্য আমাদের সিদ্ধিরগঞ্জে করোনা হাসপাতাল অত্যান্ত প্রয়োজন।
সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাঝিল এলাকার সুরুভি আক্তার গত বছর জুন মাসে কোভিড -১৯ পজেটিভ হয়ে ১৭ দিন সাজেদা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন। এ হাসপাতাল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি জানান, দিন-দিন করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হচ্ছে। এ সময়ে সিদ্ধিরগঞ্জে করোনা হাসপাতাল চালু থাকা দরকার ছিল। আমি সংশ্লিষ্টদের অনেুরোধ করবো দ্রুত যাতে করোনা হাসপাতাল খোলা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিদ্ধিরগঞ্জের এক চিকিৎসক জানায়, সংক্রমণের প্রথম ঢেউয়ে নারায়ণগঞ্জের অধিকাংশ করোনা রোগী সাজেদা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। আবারও সংক্রমণ বাড়ছে। এ মূহুর্তে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আবারও করোনা হাসপাতাল খোলা প্রয়োজন।
এদিকে গত ৮ এপ্রিল দুপুরে নিজের ফেসবুক আইডিতে মেয়র ও সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্য করে সাজেদা হাসপাতাল খুুলে দেয়ার বিষয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন নাসিক কাউন্সিলর (৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড) আয়েশা আক্তার দিনা।