এইচ.এম.ফরিদুল আলম আশরাফী আন্তর্জাতিক রিপোর্টার
সৌদিতে ৫টি সেক্টরে করণা ভাইরাসের ভ্যাকসিন দেওয়া বাধ্যতামূলক, না নিলে কাজ থাকবে না।
করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে পবিত্র মাহে রমজানকে সামনে রেখে শুরু হচ্ছে জমজম কূপের পানি বিতরণ। সৌদি গেজেটের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সৌদি আরবের জাতীয় পানি সংস্থা গত ২৩ শে মার্চ থেকে গ্রাহকদের জন্য তাদের দ্বার উন্মুক্ত করে দেবে। রমজান মাসে পবিত্র জমজম কূপের পানির চাহিদা বেড়ে যায়। সেজন্যই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
আজ থেকে শুরু হচ্ছে পবিত্র জমজম কূপের পানি বিতরণ। দীর্ঘদিন বন্ধের পর আসন্ন পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে নতুন করে আবারও মক্কার কুদাই এলাকায় অবস্থিত কিং আবদুল্লাহ প্রজেক্ট থেকে জমজমের পানি বিতরণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
হারামাইন প্রেসিডেন্সির চেয়ারম্যান ও মসজিদে হারামের প্রধান ইমাম শায়খ আবদুর রহমান আস সুদাইস জানিয়েছেন, আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে শুক্রবার ছাড়া অন্য সব দিন দুপুর ১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত জমজম কূপের পানি বিতরণ করা হবে।
সৌদি গেজেটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতীয় পানি বিতরণ সংস্থা মঙ্গলবার থেকে গ্রাহকদের জন্য তাদের দ্বার উন্মুক্ত করে দেবে। রমজান মাসে জমজমের পানির চাহিদা বেড়ে যায়, সেজন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, ভ্যাটসহ পাঁচ লিটার জমজমের একটি বোতল ৫ দশমিক ৫ রিয়ালে পাওয়া যাবে। ১৫ দিন পর পর যে কেউ সর্বোচ্চ চার বোতল পানি সংগ্রহ করতে পারবেন।
প্রকল্প তদারকি কমিটির এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তাদের সদর দফতর থেকে জমজমের পানির বোতল সংগ্রহ করা যাবে। এছাড়া সাধারণ মানুষের জন্য হাইপারমার্কেট এবং সুপারমার্কেটে ৫০ লাখ বোতল জমজমের পানি সরবরাহ করা হবে। তাই লোকজন চাইলে সেখান থেকেও এই পবিত্র পানি সংগ্রহ করতে পারবেন।
ওই প্রকল্পের আওতায় থাকায় কাস্টমার সেন্টারে একসঙ্গে ৬০ জনকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। বিশ্বজুড়ে চলমান করোনা মহামারির কারণেই সেখানে লোকজনের চলাচলে সীমাবদ্ধতা আনা হয়েছে।
হারামাইন পরিচালনা সূত্রে আরো জানানো হয়েছে, কোভিড-১৯ ভাইরাসের বিরুদ্ধে তারা ইতোমধ্যেই সব ধরনের সতর্কতা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১০ সাল থেকে প্রয়াত সৌদি বাদশাহ আবদুল্লাহর নেতৃত্বে হজযাত্রী এবং মক্কা-মদিনার পবিত্র দুই মসজিদে আসা দর্শনার্থীদের জমজমের পানি বিতরণ করা হয়।