নিউজ ডেস্ক:
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে স্বামীর সহযোগিতায় স্বামী ও তার খালাতো ভাই মিলে রাতভর জো’রপূর্বক ধ” র্ষ’ ণ ও প্রতিবাদ করায় শারিরিক নি’র্যা’তনের অ’ভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে উপজে’লার বাঘবেড় আখড়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পু’লিশ অ’ভিযু’ক্ত মাহিদুলের বাবা মাহবুবুর রহমান ওরফে মাবর আলী ও অ’পর অ’ভিযু’ক্ত ও মালেকের বাবা ইব্রাহিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আ’ট’ক করেছে।
পু’লিশ ও ভুক্তভোগী সুত্রে জানা গেছে, শেরপুর সদর উপজে’লার চান্দেরনগর গ্রামের দরিদ্র কৃষক আব্দুস সালামের কন্যা (২৩) গাজীপুরের একটি গার্মেন্টে কাজ করার সময় পরিচয় হয় নালিতাবাড়ী উপজে’লার বাঘবেড় আখড়াপাড়া গ্রামের মাহাবুর রহমানের ছে’লে মাহিদুল ইস’লামের (২৭)। পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রায় দেড় বছর আগে দু’জনে ভালোবেসে রেজিস্ট্রিবিহীন বিয়ে করে সেখানে সংসার করে। সম্প্রতি মাহিদুল গাজীপুর থেকে বাড়ি চলে আসে। গত মঙ্গলবার মাহিদুল তার স্ত্রী’কে ফোনে গ্রামের বাড়ি আনার কথা বলে রাতে বাঘবেড় গ্রামে নিয়ে আসে ও ভগ্নিপতি রহুল আমীন বাবুর পতিত বাড়িতে উঠায়। এখানে জনশূন্য বাড়িতে স্ত্রী’কে তুলে দেয় একই গ্রামের আপন খালাতো ভাই আব্দুল মালেকের হাতে। পরে রাতভর স্বামী মাহিদুল ও খালাতো ভাই মালেক মিলে ওই তরুণীকে একাধিকবার জো’রপূর্বক ধ” র্ষ’ ণ করে। এতে ওই তরুণী আ’পত্তি জানালে উভ’য়ে মিলে তাকে বেধড়ক মা’রধর করে। মা’রধরের কারণে ভোরে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে স্থানীয়রা ওই তরুণীকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে পু’লিশে যোগাযোগ করতে পরাম’র্শ দেন। পরাম’র্শ মতে নির্যাতিত ওই তরুণী এলাকা থেকে আসতে চাইলে অ’ভিযু’ক্ত মালেকের পিতা ইব্রাহিম তার দোকানে আ’ট’কে আপোষের কথা বলে ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টা চালায়। এমতাবস্থায় খবর পেয়ে থা’না পু’লিশ ঘটনাস্থল থেকে নির্যাতিত তরুণীকে উ’দ্ধার ও ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাকারী মাহবুবুর রহমান ওরফে মাবর আলী ও ইব্রাহিমকে আ’ট’ক করে থা’নায় নিয়ে আসে। তবে পলাতক রয়েছে অ’ভিযু’ক্ত মাহিদুল ইস’লাম ও আব্দুল মালেক।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থা’নার ভা” রপ্রাপ্ত কর্মক’র্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) ভুক্তভোগীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য শেরপুর সদর হাসপাতা’লে পাঠানো হবে। তিনি আরো জানান, এ নিয়ে মা’মলার প্রস্তুতি ও প্রধান অ’ভিযু’ক্তদের গ্রে’প্তার করতে পলিশী অ’ভিযান চলছে।