মকিবুল মিয়া মধুখালী ফরিদপুর
মেগচামী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় আমার স্কুল, আমাদের স্কুল, আমার প্রাণের বিদ্যাপীঠ, মেগচামীর প্রাণ কেন্দ্র, মেগচামীর গর্ব, মেগচামী স্কুল।
সুখ স্মৃতিময় অতীতকে নিয়ে ভাবতে বড্ড বেশি ভালোবাসে মানুষ। আর সে যদি হয় শৈশব – কৈশরের স্মৃতি বিজরিত অতীত। প্রতিটি মানুষের অন্তরে প্রবলভাবে আকর্ষন করে থাকে তার সোনালী অতীতের দিনগুলো। বাস্তবিক অর্থে মানুষের জীবনের সবচেয়ে সেরা সুন্দর সময় হচ্ছে তার শৈশব – কৈশোর দিনগুলো।
আমিও এ থেকে ব্যতিক্রম নই। আমাকেও প্রবলভাবে আকর্ষন করে থাকে আমার শৈশব – কৈশোরের সেই মধুমাখা স্মৃতি।মনে পড়ে আমার সেই স্কুল জীবনের হাসি আনন্দভরা দিনগুলো। মনে পড়ে আমার প্রিয় স্কুল মেগচামী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এবং স্কুলের শিক্ষক ও সহপাঠীদের যাদের সান্নিধ্য কেটেছে।আমার সেই প্রিয় স্কুল নিয়ে লিখতে বসে স্বভাবতই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছি।
কবিতার ভাষায়ঃ
কত স্মৃতি কত আড্ডা কতরকম দুষ্টুমি
কত গল্প কত আনন্দ উল্লাস করেছি স্কুল প্রাঙ্গনে
কতশত বন্ধু করেছি খেলা
টেবিল বাজিয়ে গেয়েছি কত গান
লাস্ট বেঞ্চে বই খুলে মেরেছি কত আড্ডা
আজ সবই রযেছে মনে স্মৃতির আয়না হয়ে।
স্কুলের গন্ডিতে পা রাখি আমার ছোট চাচ্চু সাংবাদিক মতিয়ার রহমানের হাত ধরে। আমার বাবা সেদিন কোন একটা কাজে ব্যস্ত ছিলেন তাই তিনি যেতে পারেননি। সে কারণে ছোট চাচ্চু আমাকে স্কুলে নিয়ে গিয়েছিল সেদিন। সেদিন ছিল আনন্দ তবে স্কুল বিদায়ের দিন ছিল দুঃখ ভরাক্রান্ত মন।
মনে পড়ে অসংখ্য খেলাধুলার স্মৃতি বিজরিত স্কুল প্রাঙ্গণের কথা।কত খেলাধুলা করেছি স্কুল মাঠে। মনে পড়ে সহপাঠীদের কথা ফুলরাজ, সাইমন,রাজু,মিতা,কল্পনা,ইতিক,রিনা,অন্তরা, সিমা,শারমিন, কামরুল,মনির,রাব্বি, কিশোর,বাঁধন, নাজমুল, ইব্রাহিম, ইসরাঈল, সজিব, মুন্না, পাপ্পু,বাপ্পি, রায়হান,মুকুল,ঈদয়,সুমন আরও অনেকে স্মৃতি বিজরিত রয়েছে তোদের সাথে। মাঝে মাঝে মনে হয় ফিরে যায় স্কুল প্রঙ্গণে।ফিরে যায় শৈশব – কৈশোর আনন্দ উল্লাসে ভরা মধুমাখা দিনগুলোতে।
খুব বেশি মনে পড়ে প্রিয় শিক্ষক রবিউল স্যারের কথা তার মুখে শোনা হয়না আর মিয়া সাহেব নামে ডাকা। গল্পে আড্ডায় মেতে থাকত তার বাংলা ক্লাস। নারদ স্যারের প্রতিটি ক্লাস ছিল অসাধারণ সুন্দর বাচনভঙ্গি দিয়ে বোঝাতো। সুশীল স্যার, ধর্মীয় শিক্ষক আবুল খায়ের,পন্ডিত সরজিৎ চক্রবর্তী, অসিত কুমার বিশ্বাস, কৃষ্ণ চন্দ্র কুন্ডু, নাছিমা খাতুন,হাজেরা ম্যাডাম,অতুল স্যার প্রত্যেক শিক্ষকের সাথে রয়েছে স্মৃতি বিজরিত দিন।অনেক শিক্ষক চলে গেছে অবসরে কিন্তু স্মৃতি আজও পড়ে আছে।
মেগচামী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় নিয়ে আজও আমি অনুভব করি আমার ধমনীতে প্রবহমান শিহরণে। স্কুলের নাম শুনলেই ঈদয়ে নেচে ওঠে সুখের স্মৃতি। আমার কৈশোরিক ভালোবাসা আনন্দ – উল্লাসে মুখরিত ছিল মেগচামী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়।
উল্লেখ্য ১৯৮৪ সালে শুকুমার দাস স্যারের হাত দরে চন্দনা নদীর তীরে প্রতিষ্ঠিত হয় মেগচামী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়।