মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি আশিক রহমান অন্তর
করোনার সংক্রমণ রোধে সরকারঘোষিত বিধিনিষেধের মধ্যেও সপ্তাহখানেক ধরে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষের ঢল ছিল শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ফেরিঘাটে৷ মানুষের চাপে হিটস্ট্রোকে মারাও গেছেন পাঁচজন। যাত্রী চাপ সামাল দিতে বাড়তি ফেরি, শৃঙ্খলা রক্ষায় মোতায়েন করা হয় বিজিবি। কিন্তু কোনোকিছুতেই থামানো যায়নি জনস্রোত।
তবে ঈদের ঠিক আগেরদিন হঠাৎ এই দুই ঘাটের চেহারা পাল্টে যায়। সকাল সাতটার দিকেও যে ঘাটে যাত্রীদের ভিড় ছিল, ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই সেই ঘাটের চিত্র পাল্টে যায়। সাতটায় যাত্রীদের ভিড় সামলাতে যেখানে হিমশিম খেতে হয়েছিল কর্তৃপক্ষকে, আটটার দিকেই উল্টো যাত্রীর অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে ফেরিগুলোকে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে অনেকটা যাত্রীশূন্য অবস্থা দেখা গেছে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ঘাটে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী চাপ একদমই কমে যায়।
করোনার কারণে লকডাউনে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন, লঞ্চ চলাচল। ফলে নানা রকমের ভোগান্তিকে সঙ্গী করে বাড়ি ফিরছেন লাখ লাখ মানুষ। বুধবার বাংলাবাজার ফেরিঘাটে হুড়োহুড়ি করে ফেরি থেকে নামতে গিয়ে মারা গেছেন ৫ জন। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক মানুষ।
ফায়ার সার্ভিস দৈনিক আমাদের সংগ্রাম কে জানিয়েছে মানুষের অতিরিক্ত চাপ,গরম এবং অক্সিজেন সংকটে হিটস্ট্রোক করে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে শিমুলিয়া ঘাটের প্রবেশমুখের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্টের পাশাপাশি আজ ঘাটে শৃঙ্খলা রক্ষায় বাড়ানো হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। পাশাপাশি কাজ করছে বিজিবি।
অন্যদিকে যাত্রী আর যানবাহন পারাপারে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে বর্তমানে ১৬টি ফেরি সচল রয়েছে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ।
সকালে শিমুলিয়া ঘাটে প্রবেশের সবগুলো পথে জনস্রোত থাকলেও ধীরে ধীরে ভিড় কমে আসে।
গত কয়েকদিনের চেয়ে ঘাটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। প্রতিটি ফেরিতেই যাত্রী-যানবাহনকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে উঠানো হচ্ছে। এতে পন্টুনে জটলা ও ভোগান্তি কমে এসেছে।
এদিকে বাংলাবাজার ঘাটেও কত কয়েকদিন ঘরমুখো মানুষের ভিড় থাকলেও আজ বৃহস্পতিবারের চেহারা পুরোপুরি ভিন্ন। ঘাটে নোঙর করা ফেরিগুলো অনেকটাই ফাঁকা দেখা গেছে।