নাহিদ মিয়া,হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় মাধবপুর উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরির বেহাল দশা। লাইব্রেরিটি বন্ধ থাকার কারণে নতুন করে সদস্য নবায়ন করতে না পারায় বন্ধ হয়ে গেছে লাইব্রেরির আয়ের একমাত্র উৎস নবায়ন ফি। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে লাইব্রেরির সব আর্থিক খাত। জানা গেছে, ২০১৮ সালে মাধবপুরের তৎকালীন ইউএনওর উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় উপজেলা লাইব্রেরিটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। অল্প কিছু বই নিয়ে লাইব্রেরিটি যাত্রা শুরু করে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাথাপিছু ১০০ টাকা ও অন্যদের কাছ থেকে মাথাপিছু ২০০ টাকা সদস্য ফি নিয়ে সদস্য সংগ্রহ শুরু হয়। খুব দ্রুতই এর সদস্যসংখ্যা ৯০০ ছাড়িয়ে যায়। ফলে সদস্যদের জন্য বই বাড়াতে বাধ্য হন লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে এখানের বইসংখ্যা ৫০০। করোনার কারণে ২০২০ সালের মার্চ মাসে পাবলিক লাইব্রেরিটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেই থেকে আর কখনো খোলা হয়নি এটি। দীর্ঘদিনের অযত্নে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে লাইব্রেরির মূল্যবান বইপত্র। বিশেষ করে গত ৭-৮ মাস ধরে লাইব্রেরি কক্ষে উপজেলা পরিষদের কিছু পুরোনো আসবাবপত্র স্তূপ করে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে লাইব্রেরিয়ান মির্জা হাসান জানান, সারা উপজেলায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা প্রাথমিকভাবে সদস্যপদ গ্রহণ করা ৯০০ সদস্যকে পুনরায় লাইব্রেরির সদস্য করা করোনা-পরবর্তী সময়ে একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ। শুরুতে উপজেলা শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে বহু প্রাইমারি শিক্ষক এই লাইব্রেরির সদস্যপদ গ্রহণ করলেও পরবর্তীতে তারা পুনরায় নবায়ন করেননি। মির্জা হাসান আরও জানান, লাইব্রেরিয়ানের জন্য শুরুতে মাসিক তিন হাজার টাকা সম্মানী নির্ধারণ করেছিল কমিটি। কিন্তু এ টাকার সংস্থান কীভাবে হবে তা নির্দিষ্ট না করায় প্রথম প্রথম কয়েক মাস সদস্যদের চাঁদায় গঠিত তহবিল থেকে তাকে সম্মানী দেওয়ার পর তহবিল সংকটের কারণে আর কোনো টাকা তাকে দেওয়া হয়নি। এদিকে পাবলিক লাইব্রেরির পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারি ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আলাউদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি পাবলিক লাইব্রেরি বন্ধ থাকার বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান।