বিপ্লব নিয়োগী তন্ময়ঃ নবীনগর,ব্রাহ্মণবাড়ীয়া প্রতিনিধি।
সম্প্রতি সংঘটিত ব্রাহ্মণবাড়ীয়া তান্ডবে উস্কানীদাতা ও প্রত্যক্ষ পরোক্ষ মদতদানকারী হিসাবে হেফাজতের দুই নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ছাত্রলীগ নেতা।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি মাওলানা মেহেদী হাসান ও সহ-সাধারণ সম্পাদক মুফতি আমজাদ হোসাইন আশরাফীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত এই মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ মে) দিবাগত রাতে সদর মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করা হয়।
এর আগে সোমবার (৩ মে) হেফাজতে ইসলামের নবীনগর উপজেলার দুই নেতাসহ তিনজনের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ শাহজাহান।
এ মামলার এজহারে মাওলানা মেহেদী, মুফতী আমজাদ ও সানাউল হক চৌধুরী (৫৫) নামের একজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে,সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংগঠিত হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের প্রত্যক্ষভাবে আসামিরা মদদ দিয়েছেন। এই তাণ্ডবের ঘটনা নিয়ে মাওলানা মেহেদী হাসান তার ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট দেন। যার উদ্দেশ্য ছিল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর মানহানি করা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি।
এছাড়া মেহেদী সে পোস্টে মোকতাদির চৌধুরীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসায় হামলাকারী উল্লেখ করে তার ফাঁসি দাবি করেন। মেহেদীর এ পোস্ট বাকি দুই আসামি শেয়ার করে ছড়িয়ে দেন বলে এজহারে উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য, ঢাকা ও চট্টগ্রামে মাদরাসা ছাত্রদের ওপর পুলিশের হামলার খবরে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা। এসময় পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সিভিল সার্জনের কার্যালয়,রেলওয়ে স্টেশন প্রেস ক্লাব, সহ ৩৮টি সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় হেফাজত ইসলামের নেতৃত্বে।তাদের ব্যাপক তান্ডবে বিভিষিকাময় ও আতংকের নগরী হয়ে উঠে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া।
এ ঘটনায় নিহত হন ১২ জন।