সালাহ উদ্দিন সৈকত (কালিয়াকৈর প্রতিনিধি)
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বরের এ-ই দিনে মুক্তিযোদ্ধাদের ভয়ে পাক হানাদার বাহিনী কালিয়াকৈর থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। ১৯৭১ সালের ১২ ডিসেম্বর উপজেলার মৌচাক ইউনিয়নের সফিপুর এলাকায় সম্মুখ যুদ্ধে হানাদার বাহিনীর একটি জীপ জ্বালিয়ে দেয়া হয়। ফলে সফিপুর ও মৌচাক এলাকায় ব্যাপক জ্বালাও পোড়াও করে পাক-বাহিনী। ১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসে পবিত্র ঈদুল ফিতরের রাতে কালিয়াকৈর উপজেলার লতিফপুর ব্রিজের নিকট মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে পাকহানাদার বাহিনীর সম্মুখ যুদ্ধ সংগঠিত হয়। ফলে পাকবাহিনী ওই রাতে শ্রীফলতলী গ্রামটি জ্বালিয়ে দেয় ও নিরীহ জনসাধারণের উপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। ১৪ ডিসেম্বর হিজলতলী এলাকায় বংশী নদীর উপর ব্রিজের কাছে পাক-বাহিনী সাথে সম্মুখ যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা শ্রী গোবিন্দ চন্দ্র দাস ও ফজলুল করিম শহীদ হন। একই দিন সোনাখালী সেতু হতে পাকবাহিনী মতিউর রহমানকে ধরে নিয়ে যায়। যার সন্ধান আজও মিলেনি । এছাড়াও ওই সময় যুদ্ধে শহীদ হন নোমিজ উদ্দিন, আব্দুল আজিজ, শাহাবুদ্দিন, তুরাগ নদীতে শহীদ হন নরুল ইসলাম, আঃ সালাম ও বাবুল হোসেন। টাঙ্গাইলের নাটিয়াপাড়ায় শহীদ হন লাবিব উদ্দিন। যার নামে কালিয়াকৈর বাজারের একটি সড়কের নাম করণ করা হয়েছে শহীদ লাবিব সড়ক। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর কালিয়াকৈর মুক্ত হয়। কালিয়াকৈরের মুক্তিযোদ্ধাদের সাবেক কমান্ডার ডা: মোঃ সাহাবুদ্দিন আহসান জানান, কালিয়াকৈর থেকে অংশগ্রহনকারী ৩ শতাধিক মুক্তি যোদ্ধা কাদেরিয়া বাহিনী, আফসার গ্রুপ, হাকিম গ্রুপ, আনোয়ার গ্রুপ ও দেওয়ান ইব্রাহীম ও আব্দুল ওয়াহাব মিয়ার গ্রুপে বিভক্ত হয়ে যুদ্ধে সক্রিয় ছিলেন।