রফিক তালুকদার, স্টাফ রিপোর্টার
দেশে আশঙ্কা জনক হারে বেড়ে চলা করোনার সংক্রমন প্রতিরোধে গত ১জুলাই থেকে ১৪জুলাই পর্যন্ত ঘোষনা করা হয় কঠোর লকডাউন।
করোনার সংক্রমন বিবেচনায় লকডাউনের মেয়াদ আরও বর্ধ্বিত করার কথা থাকলেও
আসন্ন কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে ১৫জুলাই থেকে ২২জুলাই পর্যন্ত শিথিল করা হয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ সমূহ।
৮ দিনের শিথিলতা শেষে আগামী ২৩জুলাই থেকে ৫আগস্ট পর্যন্ত আবারও কঠোর বিধিনিষেধ সমেত লকডাউনে ফিরে যাবে দেশ, যা কার্যকরে মাঠে থাকবে পুলিশ, বিজিবি ও র্যাবের সাথে সেনাবাহিনীও।
মঙ্গলবার(১৩জুলাই) দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে- চলমান বিধিনিষেধ ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই ভোর ৬টা পর্যন্ত শিথিল এবং ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ থাকবে সারা দেশে।
কঠোর বিধিনিষেধের ক্ষেত্রে আরোপ করা হয়েছে ২৩টি শর্ত। এতে বলা হয়েছে, ‘আর্মি ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ বিধানের আওতায় মাঠপর্যায়ে কার্যকর টহল নিশ্চিত করার জন্য সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ প্রয়োজনীয় সংখ্যক সেনা মোতায়েন করবে।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্থানীয় সেনা কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।
এতে আরও বলা হয়, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেলা পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে সমন্বয় সভা করে সেনাবাহিনী, বিজিবি/কোস্টগার্ড, পুলিশ, র্যাব ও আনসার নিয়োগ ও টহলের অধিক্ষেত্র, পদ্ধতি ও সময় নির্ধারণ করবেন। সেই সঙ্গে স্থানীয়ভাবে বিশেষ কোন কার্যক্রমের প্রয়োজন হলে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিবেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনিয় সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।
এছাড়া সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮’ এর আওতায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীকে আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণের প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রদান করবেন।